তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের হান্ড্রেড প্লাস স্ট্র্যাটেজি

যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার দেশব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উদযাপন শুরু হয়। দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও উদযাপন করা হয়। ১৭ মার্চ থেকে থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষ উদযাপন করা হবে।
অন্য সবার মতো বছরব্যাপী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এ বাঙালির জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে হান্ড্রেড প্লাস স্ট্র্যাটেজি হাতে নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। মোট ২৯টি উদ্যোগের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে হান্ড্রেড প্লাস স্ট্র্যাটেজি।
মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ‘হলোগ্রাফিক প্রোজেকশন’, অনলাইনে মুজিববর্ষ, মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নেয়া উদ্যোগ, আইসিটি বিভাগের ১০০+ কৌশলগত পরিকল্পনা, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) দশ বছর উদযাপন উপলক্ষে মহাসম্মেলন, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০ আয়োজন ইত্যাদি।
এছাড়াও রয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) শতভাগ বাস্তবায়ন। তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী ও যুবসমাজের জন্য রাখা হয়েছে ১০০ হাজারের অধিক অর্থ্যাৎ এক লাখের অধিক তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনা। এছাড়া থাকছে শতাধিক শ্রেষ্ঠ আইসিটি প্রতিষ্ঠানকে মূলধন দেয়া।
১০০ মিলিয়নের অধিক জনগণকে মুজিববর্ষে আনা হবে ইন্টারনেট সেবার আওতায়। থানা পর্যায়সহ তৃণমূল পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে আইসিটি বিভাগের।
এছাড়া রয়েছে পরিচয় অ্যাপের মাধ্যমে শতাধিক মিলিয়ন ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ হাজারের অধিক অর্থাৎ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীদের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে প্রশিক্ষণ দেয়া, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের লক্ষাধিক শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ, শতাধিক সাধারণ বিদ্যালয়কে স্মার্ট বিদ্যালয়ে রূপান্তর, শতাধিক গ্রামে শহরের সুবিধা চালুকরণের পরিকল্পনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কেন্দ্র করেও পরিকল্পনা রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের। ১০০ লাখের বেশি অর্থাৎ এক কোটির বেশি মানুষকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সংস্পর্শে আনা, শতাধিক অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি ও প্রকাশ করা এবং লক্ষাধিক সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক ও উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে এ পরিকল্পনায়।